Bangladesh Giant Seeks to Invest $2.3 Billion in LNG Projects
Bloomberg , 2021-04-06 06:25:28.455 GMT | By Ann Koh
(Bloomberg) -- Bangladesh conglomerate Summit Group is bidding for an estimated $2.3 billion of projects to import and store liquefied natural gas on the Indian subcontinent, amid a jump in storage demand from governments seeking to mitigate spikes in gas prices.
Summit, Japan’s Jera Co. and Mitsubishi Corp. are jointly tendering to build Bangladesh’s first onshore import terminal at Matarbari, along with storage infrastructure, to handle 7.5 million tons of LNG per year, Summit Chairman Muhammed Aziz Khan said in an interview. The results of the tender are expected to be out later this year, he said.
The company has also set its sights on a handful of projects for floating storage regasification units. It is bidding to construct a 7.5 million-tons-a-year FSRU at Payra, Bangladesh, that authorities are expected to award by 2022. It is participating in a tender called by the Ceylon Electricity Board to build a 156,000 cubic-meter FSRU at Kerawalapitiya, Sri Lanka, and is working with Mitsubishi to jointly bid for a project in Pakistan.
At approximately $800 million for an onshore terminal and $500 million for an FSRU, Summit is aiming for a total investment of $2.3 billion in LNG projects, according to Bloomberg calculations based on figures provided by Khan. Khan sees demand for storage increasing as governments face volatility in natural gas prices. North Asian spot LNG prices, known as the Japan-Korea Marker, surged to $32.50 per million British thermal units in January, the highest on record and 500% higher than the same time last year. A burst of frigid winter weather caught the region’s biggest gas consumers flat-footed, causing them to scramble for spot cargoes and sending rates skyrocketing.
Bangladesh and Pakistan’s state-owned energy companies canceled tenders to purchase LNG cargoes amid the spike. That created gas shortages in major cities such as Dhaka and Karachi. The countries’ appetite to improve their energy security by building storage facilities is increasing especially as domestic output from fields drops, said Khan. He estimated that Bangladesh’s domestic output of 2.6 billion cubic feet per day would need to be entirely substituted by imported LNG by 2025 if demand remains at current levels.
The price spike during the winter has “proven that even if it is more expensive than storing oil, you still should store gas because the Japan-Korea benchmark price has been so volatile,” said Khan. “Prices will smoothen out as companies in Japan, Korea and Singapore take initiatives and maintain inventories.”
Meanwhile, the company isn’t planning to build any more oil-fired power plants, although it ran them at full tilt during the winter, said Khan. Instead, it is constructing an additional 1,200 megawatts of gas-fired generation in Bangladesh that will start operating by 2023. Summit Power currently operates 2,000 megawatts of power generation capacity in Bangladesh, of which about 35% runs on fuel oil and the rest on natural gas.
--With assistance from Stephen Stapczynski.
২.৩ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রজেক্টে বিনিয়োগে উৎসাহী বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান (সামিট)
প্রকাশক: ব্লুমবার্গ, অ্যান কোহ
প্রকাশকাল: ৬ এপ্রিল, ২০২১, ৬টা ২৫ মিনিট, গ্রিনিচ মান সময় (GMT)
(ব্লুমবার্গ): এক দিকে আমদানি বাড়িয়ে এবং অন্য দিকে সংরক্ষণ করে যখন বিভিন্ন সরকার প্রাকৃতিক তরল গ্যাস (এলএনজি)’র দাম স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তখন ভারতীয় উপমহাদেশে এলএনজি আমদানি ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ এই খাতে প্রায় ২.৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে যা বাস্তবায়িত হলে উপমহাদেশের এলএনজি সেক্টরে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সামিট, জাপানের জেরা (JERA) এবং মিতসুবিশি কর্পোরেশন যৌথভাবে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে বাংলাদেশের প্রথম উপকূলীয় আমদানি (Onshore Import) টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই দরপত্র জমা দিয়েছে, যেখানে আমদানির পাশাপাশি প্রতিবছর ৭.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি হ্যান্ডেলিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে, মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। এবছরের (২০২১) শেষ নাগাদ এই টেন্ডারের চূড়ান্ত ফলাফল সম্পর্কে জানা যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
এছাড়া কোম্পানিটি বেশ কিছু এফএসআরইউ নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে কোম্পানিটি পায়রা-তে বছরে ৭.৫ মিলিয়ন টন তরল গ্যাস হ্যান্ডেলিং ক্ষমতাসম্পন একটি এফএসআরইউ টার্মিনাল নির্মাণ করবার দরপত্র জমা দিয়েছে, যা ২০২২ সাল নাগাদ কতৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দেবেন। তারা শ্রীলংকার কেরাওয়ালাপিতিয়াতে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ঘনফুটের এফএসআরইউ নির্মাণের জন্য সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড আয়োজিত টেন্ডারে অংশগ্রহণ করছে এছাড়াও মিতসুবিশির সাথে যৌথভাবে পাকিস্তানে একটি প্রকল্প নির্মাণের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করবার প্রস্তুতি নিচ্ছে সামিট।
আজিজ খানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে, ব্লুমবার্গের হিসেব মতে - সামিট গ্রুপ আনুমানিক ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনশোর টার্মিনাল এবং অফশোর টার্মিনালে ৫০০ মিলিয়ন প্রজেক্ট দুটো মিলিয়ে মোট ২.৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে। খান ভবিষ্যতে এলএনজি সংরক্ষণের চাহিদা বাড়বে বলে মনে করেন, যেহেতু সরকাররা প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজারে অস্থিরতার সম্মুখীন। “উত্তর এশীয় স্পট এলএনজি প্রাইস” যা “জাপান-কোরিয়া মার্কার” হিসেবেও পরিচিত, সেখানে এবছরের জানুয়ারিতে (২০২১) প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের উৎপাদন খরচ বেড়ে দাড়িয়েছে ৩২.৫০ মার্কিন ডলার, যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং গতবছরের এই সময়ের তুলনায় ৫০০% বেশি। এবারের হঠাৎ বৈরী শীতল আবহাওয়ার কারণে এই অঞ্চলে এবছর গ্যাস ব্যবহারকারী দেশগুলো নিজেরা অপ্রস্তুত ছিল আর তাদের এই গ্যাস যোগাড়ের তাড়াহুড়ো গ্যাসের দামকে আকাশ ছুঁইয়েছে।
গ্যাসের এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানীগুলো তাদের এলএনজির টেন্ডার বাতিল করেছে, যার ফলে ঢাকা এবং করাচির মতো বড় শহরগুলোতে গ্যাস সংকটে পড়েছে। আজিজ খান বলেন, এসব কারণে সরকারিভাবে এলএনজি সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে জ্বালানী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে বিশেষ করে যখন স্থানীয়ভাবে গ্যাস উত্তোলন হ্রাস পেয়েছে। তার অনুমান, বর্তমানে গ্যাসের যে চাহিদা রয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকলে আর নিজস্ব গ্যাসের বদলে আমদানি করতে হলে ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশের প্রতিদিন প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের আমদানি করবার প্রয়োজন হবে।
আজিজ খানের মতে, শীতের সময়ে গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া প্রমাণ করেছে যে, যদিও তেলের তুলনায় গ্যাস সংরক্ষণ অনেক ব্যয়বহুল তবুও আমাদেরকে গ্যাস সংরক্ষণ করতে হবে কারণ, জাপান-কোরিয়ার গ্যাসের বেঞ্চমার্ক দাম অত্যন্ত অস্থিতিশীল। জাপান, কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো যখন উদ্যোগ নেবেন এবং নিজেদের সংরক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে তখন আবার গ্যাসের দাম ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলেও তিনি মনে করেন।
এদিকে সামিট আর নতুন কোন তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ না করবার পরিকল্পনা করছে, যদিও শীতের পুরোটা সময়ই সামিটের তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে, বলেন আজিজ খান। তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল্প হিসেবে সামিট বর্তমানে ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে যা ২০২৩ সাল নাগাদ চালু হবে। সামিট পাওয়ার বর্তমানে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে যার ৩৫ শতাংশ তেলভিত্তিক এবং বাকী অংশ প্রাকৃতিক গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
স্টিফেন স্ট্যাপজিনস্কির সহায়তায় অ্যান কোহ, ব্লুমবার্গ
To view this story in Bloomberg click here:
https://blinks.bloomberg.com/news/stories/QR30CXT0G1KW