Media

13 September 2024

Back

সংশোধনী- প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে (যুগান্তর ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪)

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত “বাতিল হচ্ছে জ্বালানি খাতের ৪ মেগা প্রকল্প” শিরোনামে একটি সংবাদে ভিত্তিহীন অভিযোগের বিষয়ে সামিট বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য ও ব্যাখ্যা দিচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনের একটি অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, “সামিটের তৃতীয় এফএসআরইউ : ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বৈঠকেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আলোচিত এই প্রকল্পটি বাগিয়ে নিয়েছিল সামিট গ্রুপ। কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ও যাচাই-বাছাই ছাড়াই ওই বৈঠকে ১৭ হাজার কোটি টাকার এলএনজি টার্মিনালের কাজ দেওয়া হয় সামিটকে। মাত্র ১০ দিনের প্রক্রিয়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর একক সিদ্ধান্ত ও চাপে সামিটকে এই কাজ দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির (বিশেষ আইন) আইন ২০১০ এর আওতায় তৎকালীন সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়।”

সামিটের বক্তব্যঃ সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড (এসওএসসিএল) ১১ অক্টোবর, ২০২১ সালে ‘ক্রয়, মালিকানা, পরিচালনা ও (সরকারকে) হস্তান্তর (বিওওটি)’- এর ভিত্তিতে দেশের তৃতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) স্থাপনের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাবনা জমা দেয়। এরপর ২০২২-২০২৩ সালে, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) এর সঙ্গে দুই পক্ষের আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের উপস্থিতিতে শর্তাবলী-সংক্রান্ত আলোচনা সাপেক্ষে একাধিকবার দর-কষাকষি হয়। ৩০ মার্চ, ২০২৪ তারিখে আরপিজিসিএল ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে সামিট এলএনজি টার্মিনাল-২ এর চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিটি স্বাক্ষরের পূর্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রীসভা কমিটি, আইন মন্ত্রানালয়ের ভেটিং, সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির অনুমোদন সহ সকল বিধিবিধান অনুসরণ করা হয়েছে।

অর্থাৎ, সামিটের প্রস্তাবনার প্রায় আড়াই বছর পর এই চুক্তিটি সম্পন্ন হয়।

বাংলাদেশের জ্বালানি সরবরাহের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় তৃতীয় এফএসআরইউ টার্মিনালটি বাস্তবায়নের জন্য সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড়-প্রবণ এলাকায় একটি গ্যাস স্টেশন, ৬ কিলোমিটারের সাব-সি গ্যাস পাইপলাইন এবং মুরিং অবকাঠামো নির্মাণ করতে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোম্পানিদের নিযুক্ত করে সামিটের এই টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ করতে প্রায় তিনটি শীত মৌসুম লাগবে। কেবলমাত্র সামিট এলএনজি-২ টার্মিনালটি সফলভাবে কার্যকর হওয়ার সাপেক্ষে পেট্রোবাংলার কাছ থেকে কোনো ধরনের পেমেন্ট পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে, বৈশ্বিক মানদন্ড বিবেচনায় সামিটের প্রস্তাবিত ট্যারিফ সবচেয়ে নূন্যতম।

মূল সংবাদ :
https://www.jugantor.com/tp-firstpage/851647