Media

18 August 2024

Back

সংশোধনী- প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে (সমকাল ১৮ আগস্ট ২০২৪)

সামিট, ১৮ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ, “টেন্ডার ছাড়াই লাখ লাখ কোটি টাকার কাজ” কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগের বিষয়ে দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ করে এবং আমরা এ সংক্রান্ত কয়েকটি সমালোচনামূলক বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানাতে চাচ্ছি।

সামিটের ২১টি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৫টি প্রকল্প বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় পড়েছে। এই তথ্য বলে দেয় আমরা দায়িত্বশীল হিসেবে ব্যবসার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যখন বাড়তি বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর প্রয়োজন তৈরি হয়েছে, তখন আমরা সেই মোতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।

১৯৯৬ সালে সামিটের সূচনালগ্ন থেকে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে সামিট অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে, যার অংশ হিসেবে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অংশীদার যেমনঃ ফিনল্যান্ডের ওয়ার্টসিলা এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের আইএফসির অর্থায়ন নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এল পাসো করপোরেশন সাথে যুক্ত হয়ে সামিট দেশের প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে। ১৯৯৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে সামিট চট্টগ্রামে বাংলাদেশের প্রথম ট্যাংক টার্মিনাল স্থাপন করে এবং প্রথম ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো ও কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশন, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট চালু করে। বিএনপি সরকারের আমলে (২০০১-২০০৬) সামিট স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য স্থানীয় ব্যাংকের অর্থায়নে সামিট ১০৫ মেগাওয়াটের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও (২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত) সামিট ১১০ মেগাওয়াটের প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎখাতে অবদান রেখেছে।

আজকে জাপানের জেরা, যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই), মিতসুবিশি ও তাইয়ো ইনস্যুরেন্সের মতো বিশ্ব বিখ্যাত ইক্যুইটি পার্টনারদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরে সামিট গর্বিত। এ ছাড়াও সামিট নিজেকে ধন্য মনে করে কারণ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এর কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সহায়তা এবং অন্যদিকে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইএসডিবি) ও অন্যান্য উন্নয়ন, রপ্তানী এজেন্সি যেমন সুইস সার্ভ, জার্মান ডিইজির মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সামিট সহায়তা পেয়েছে।

শুধু বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অতি প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যেই এই চুক্তিগুলো সম্পন্ন হয়েছিল, যা শুধুমাত্র সামিটের ব্যবসায়িক দক্ষতার প্রতিফলন নয় বরং কর্পোরেট সুশাসনের প্রতি অনবদ্য প্রতিশ্রুতিরও উদাহরণ। দেশের আইন-কানুন মেনে আমাদের সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং এ কারণে আন্তর্জাতিক অংশীদার ও অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের ওপর আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেছে।

প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ ও ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনালে রিগ্যাসিফিকেশন করতে পেরে আমরা গর্বিত।

সামিট ধারাবাহিকভাবে সর্বাধুনিক ও সবচেয়ে দক্ষ প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসছে যেন সবচেয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ ও রিগ্যাসিফিকেশন নিশ্চিত করা যায়। আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড-ই এই বিষয়ে সাক্ষ্য দেয় এবং আমরা দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

আমরা অত্যন্ত সম্মানের সাথে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করছি যে, কোনো অভিযোগমূলক বা হানিকর বিষয়বস্তু প্রকাশ করার পূর্বে বিস্তারিতভাবে ওই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হয় যেন জনগণের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা বজায় থাকে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে যেহেতু সহজেই ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই জনগণের আস্থা বজায় রাখার জন্য সত্যকে সমুন্নত রাখা একান্ত অত্যাবশ্যক।

এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে, বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে তা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নের ফলে এই অবস্থা তৈরি হয়নি। বরং, এটি কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা হ্রাস পাওয়ার ফলে তৈরী হয়েছে, যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট তৈরী করেছে। এই চ্যালেঞ্জগুলি থাকা সত্ত্বেও, সামিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দেশের সবচেয়ে দক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মধ্যে অবস্থান করছে এবং ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) মেরিট ডিসপ্যাচ অর্ডারে সম্মুখসারিতে অবস্থান করছে, এটি প্রমান করে যে আমরা জাতিকে সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহ করে যাচ্ছি। 

সামিট স্বচ্ছতা, উৎকর্ষতা এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মূল সংবাদঃ

https://samakal.com/bangladesh/article/251318

প্রকাশিত সংশোধনী:
https://epaper.samakal.com/nogor-edition/2024-08-20/16/5860